শুক্রবার, ২৩ মার্চ, ২০১২

কক্সবাজারের হ্নীলা হাই স্কুল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

॥ মহসীন শেখ, কক্সবাজার ॥   
অবৈধভাবে ম্যানেজিং কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ ৫ মাসেরও অধিক সময় অচলাবস্থার পর পক্ষে-বিপক্ষে ছাত্র সংঘর্ষের আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার টেকনাফের হ্নীলা হাই স্কুল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষকরা।
শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মোস্তফা কামাল জানান, গত বছরের নবেম্বর মাসে
স্থানীয় একটি প্রভাবশালী স্বার্থান্বেষী মহলের সাথে আঁতাত করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুস সালাম শিক্ষকদের স্বাক্ষর জাল করে, শিক্ষা বোর্ড-এমপি-ইউএনও’র কাছে প্রতারণামূলক তথ্য দিয়ে এবং শিক্ষক-অভিভাবকদের অগোচরে পূর্ণাঙ্গ ম্যানেজিং কমিটি গঠন করে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দেয়। তবে ওই সময় জেএসসি ও বার্ষিক পরীক্ষা থাকায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কর্তৃক অবৈধ ম্যানেজিং কমিটি ভেঙ্গে দেয়ার আশ্বাসে অভিভাকরা তালা খুলে দেয়। কিন্তু ওই ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন বাহনায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক স্কুলে টানা অনুপস্থিত থাকায় জানুয়ারীর শেষ দিকে শিক্ষক-অভিভাবকরা আদালতে মামলা দায়ের করে। স্কুলের এমনি এক পরিবেশে বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য ৫ ফেরুয়ারী ইউএনও আ.ন.ম. নাজিম উদ্দিন উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসে দীর্ঘ আলোচনা শেষে ২২ মার্চ চুড়ান্ত সমযোতায় আসতে সিদ্ধান্ত নেন। ১৯ মার্চ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের প্ররোচনায় ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা স্কুলে বিক্ষোভ ও ভাংচুর করে। ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা বাধা দিতে গেলে সংঘর্ষ হয়। এদিকে বৃহস্পতিবার ইউএনও’র সাথে পূর্বনির্ধারিত সমযোতা বৈঠকের কথা থাকলেও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সময় পেছানোর আবেদন করে। প্রধান শিক্ষকের টানা অনুপস্থিতি ও ৯ম-১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কায় শিক্ষকরা নিরূপায় হয়ে স্কুল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।
১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা জানায়, তারা নিয়মিত ক্লাসের দাবীতে মিছিল করছিল। বহিরাগত একটি মহল ওই মিছিলকে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মিছিল বলে বিরূপ  প্রচারণা চালিয়ে ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদেরকে আমাদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়। ওই দিন সংঘর্ষের মত কোন ধরণের ঘটনা কটেনি।
৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা জানায়, হেড স্যারের নিদের্শে বড় ভাইরা স্যারদের বিরুদ্ধে মিছিল ও ভাঙচুর করায় আমরা বাধা দিই। 
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুস সালাম অসুস্থতা জনিত কারণে ৩দিন ধরে ছুটিতে আছেন জানিয়ে বলেন, শিক্ষকরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিকদার জানান, বিভিন্ন বিষয়ে অভিযুক্ত দু’জন শিক্ষক নিজেদের অপকর্ম ঢাকা দিতে অপরাপর সরলমনা শিক্ষকদের ব্যবহার করে বহিরাগতদের সাথে মিলে স্কুলকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...