শুক্রবার, ২৩ মার্চ, ২০১২

কক্সবাজারে বিশুদ্ধ পানি তৈরীর নামে প্রতারণা চলছেই : ৩ প্রতিষ্ঠানকে পরিবেশ অধিদপ্তরের নোটিশ

॥ মহসীন শেখ,কক্সবাজার ॥   
কক্সবাজারের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের নামে দীর্ঘদিন ধরে দূষিত পানি বাজারজাত করছে এক শ্রেণীর লোভি ব্যবসায়ীরা। ইতোপূর্বে জেলা প্রশাসন রে‌ব একাধিক অভিযানে ওসব দূষিত পানি তৈরীর কারখানা গুলো বন্ধ করে দেয়া হলেও ওসব আইনকে তোয়াক্কা না করে পূণরায় তা বাজারজাত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া
গেছে। আইনকে অমান্য করে ওসব অ-বিশুদ্ধ পানি বাজারজাতের বিষয়ে সচেতন মহলকে রীতিমতো ভাবিয়ে তুলেছে। তবে দূষিত পানি বাজারজাত করায় ৩টি প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ প্রদান করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এদিকে জীবানুযুক্ত ওসব পানি পান করায় মানবদেহের মারাত্নক ক্ষতি হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞদের দাবি।
প্রাপ্ত অভিযোগে প্রকাশ, দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে কক্সবাজার শহরে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতি লাভের আশায় কোন প্রকার বৈধ কাগজ-পত্র, ল্যাব ও বিশেষজ্ঞ ছাড়াই বিশুদ্ধ পানি তৈরীর নামে দূষিত পানি বাজারজাত করে কৌটি কৌটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে শহরের তিনটি প্রতিষ্ঠান। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ওসব পানি বাজারজাত করে আসছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ার ছড়ায় আল-মোস্তাফা, বিডিআর ক্যাম্প এলাকায় জনৈক শাহাব উদ্দিনের বিল্ডিংয়ের নীচ তলায় বে-ড্রিংকিং ওয়াটার ও আলীর জাঁহালস্থ সাইফুল কমিউনিটি সেন্টারের পার্শ্ববর্তী দারুচিনি নামের ৩টি প্রতিষ্ঠান কোন প্রকার সাইন বোর্ড অথবা প্রচারণা ছাড়াই সাধারণ জনগনের চোঁখের আড়ালে পানি তৈরী করছে। কিছু বিল্ডিংয়ের বদ্ধ কক্ষেই কোন প্রকার পরিক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই অপরিচ্ছন্নভাবে প্লাষ্টিকের বড় বোতলে সাধারণ টাংকির পানি ঢুকিয়ে তা বিশুদ্ধ পানি বলে বাজারজাত করা হচ্ছে। আর ওসব পানি বিশুদ্ধ ভেবেই টাকার বিনিময়ে গিলছে দেশ-বিদেশ থেকে আসা পর্যটক ছাড়াও স্থানীয় নারী-পূরুষ ও শিশুরা। বিশেষজ্ঞদের মতে দূষিত পানি পান করে অনেকেই নানা রোগে সংক্রামিত হচ্ছে ।
দূষিত পানি পান করে মানবদেহে কোন ধরণের ক্ষতি হয় জানতে চাইলে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজের জনস্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও চিকিৎসা আইন বিদ্যা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান ডাঃ মিজবাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, দূষিত পানি পান করলে মানবদেহে নানা ধরণের ক্ষতি সাধিত হয়ে থাকে। তন্মধ্যে, ডায়েরিয়া, কলেরা, জন্ডিস হেপাটাইটিস-এ ও হেপাটাইটিস-ই, শিশুদের রোটা ভাইরাস ও ক্রিমিসহ বিভিন্ন পরজীবীর সংক্রামণ হয়। প্রতিনিয়ত দূষিত পানি পান করে কক্সবাজার জেলায় ওসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
এদিকে কোন প্রকার পরিক্ষা-নিরীক্ষা এবং যথাযত কাগজ-পত্রবিহীন ওসব দূষিত পানি তৈরী করে বাজারজাত করার বিষয়ে খবর পেয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৮ ফেব্রুয়ারী ওই ৩টি প্রতিষ্ঠানেই র‌্যাব ও জেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালায় । র‌্যাব-৭ কক্সবাজারস্থ ক্যাম্পের ইনচার্জ ক্যাপ্টেন সিরাজুল হক ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নায়েরুজ্জামানের নেতৃত্বে অভিযানে অপরিচ্ছন্নতা, ল্যাব ও বিশেষজ্ঞবিহীন পানি তৈরী করায় ভোক্তা আইন ২০০৯ এর অনুকুলে বে-ড্রিংকিং ওয়াটার ও দারুচিনি ওয়াটারকে ৫০হাজার টাকা করে জরিমানা আদায়সহ ২টি প্রতিষ্ঠানই সিলগালা করা হয় উপস্থিত সকলে সমনে। একই ভাবে রুমালিয়ার ছড়াস্থ আল-মোস্তাফার কাছ থেকে ৫হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এদিকে জরিমানা আদায় পূর্বক সিলগালা করার পরও তা ভেঙ্গে ওসব দূষিত পানি তৈরী করে বাজারজাত করে আসছে প্রতিষ্ঠান গুলো। আদালতের আদেশ অমান্য করে বরাবরের মতোই দূষিত পানি বাজারজাত করার পরও প্রশাসনের নীরব ভূমিকা পালন করায় সচেতন মহলে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।

অপরদিকে দূষিত পানি তৈরী ও বাজারজাত করায় ওই ৩ প্রতিষ্ঠানকেই নোটিশ কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।

এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...