রামু নিউজ ডেস্ক ॥
যুবকের মতোই ডেসটিনির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, ‘যুবকের বিরুদ্ধে গঠন করা একটি
কমিশনের মতোই ডেসটিনির
গ্রাহকদের স্বার্থ সংরক্ষণে একটি কমিশন গঠনের
প্রক্রিয়া চলছে।’ শনিবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে একটি সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানের পর অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘পত্রপত্রিকায় বিষয়টি নিয়ে এতো লেখালেখি হয়েছে যে, এ অবস্থায় সরকার তো কোনো অ্যাকশন না নিয়ে থাকতে পারে না।’
ডেসটিনির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মাল্টিলেভেল মার্কেটিংয়ের মতো প্রতিষ্ঠান যেন সম্পদ ট্রান্সফার করতে না পারে, সেজন্য যুবকের মতো একটি কমিশন করা হবে।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা প্রসঙ্গে এদিন অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘গত কয়েকদিনে পত্রপত্রিকায় ডেসটিনি নিয়ে এতো লেখালেখি হয়েছে যে এখন একটা ইমার্জেন্সি পরিস্থিতির মতো সৃষ্টি হয়েছে।’
যুবকের বিরুদ্ধে গৃহীত ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যুবকের সম্পদ জব্দ করায় তারা সব সম্পদ পাচার করতে পারেনি। সেই অর্থ থেকে গ্রাহকদের ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে দেওয়া যাবে। এভাবে ডেসটিনির ক্ষেত্রেও একটি কমিশন করা হবে।’
বিষয়টি পর্যালোচনায় এরইমধ্যে অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালণয়সহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে কমিশন গঠনের আলোচনা শুরু হয়েছে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রতিবেদনের সূত্র ধরে গত কয়েকদিন ধরে বিভিন সংবাদপত্রে ডেসটিনি গ্রুপের ‘অবৈধ ব্যাংকিংয়ের বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এমএলএম কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে অনুরোধ জানায়।
এরপর নিজস্ব একটি অনুসন্ধান করে বাংলাদশ ব্যাংক অনুমোদনবিহীন কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যাংকিং লেনদেন না করতে একটি নির্দেশনা জারি করে।
১ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা ওই নির্দেশনায় বলা হয়, অনুমোদনহীন এসব প্রতিষ্ঠান অস্বাভাবিক উচ্চ হারে সুদ ও আকর্ষণীয় মুনাফার লোভ দেখিয়ে জনসাধারণ থেকে অর্থ সংগ্রহ করছে।