প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু ॥
‘জাগরে জাগ অ্যারো ঘরর জাগ
অক্কল ঘরর টেয়া পইস্যা
আরো ঘরর যাক’
এই আত্নকেন্দ্রীক আকুতি ভরা গ্রামীণ লোককথাগুলো
চৈত্র সংক্রান্তির আগমনে প্রতিবছর শুনা যায় রামুর বৌদ্ধ অধ্যুষিত পল্লীগুলোতে। স্থানীয় ভাষায় একে বলা হয় পরব (উৎসব)। গ্রামের উৎসবপ্রিয় ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা এখন থেকে জাগ সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। ১৩ এপ্রিল নিজ নিজ বাড়ির সামনে তারা জাগে আগুন জ্বালিয়ে সুরেলা কণ্ঠে সন্ধ্যার প্রকৃতিকে মুখরিত করে তোলবে। এ সময় বড়রা ও তাদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করবেন। চলতি বছর হিন্দু ও বৌদ্ধরা চৈত্রসংক্রান্তি পালন করবেন ১৩ এপ্রিল। কেননা ১৪ এপ্রিল পয়লা বৈশাখ শুভ বাংলা নববর্ষ। রামু উপজেলার প্রতিটি হিন্দু ও বৌদ্ধ পল্লীতে বর্তমান উৎসব মূখর পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রতিটি পল্লীতে চৈত্রসংক্রান্তির রকমারি খাবারের আয়োজন চলছে। ভাতের জিরা, বিভিন্ন ধানের খই, চাল ও খইয়ের নাড়ু, সুজির নাড়ু, পিঠা, পায়েস ইত্যাদি ঐতিহ্যগত খাবারগুলো চৈত্রসংক্রান্তির আকর্ষণীয় খাবার। শ্রমসাধ্য এই খাবার গুলো প্রস্তুুতে অনেক সময় নিয়ে নামতে হয়। ঘরের গৃহিনীরা বাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, ধোয়া মূছার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। শিশুরা নতুন নতুন পোষাক পাওয়ার আনন্দে মেতে উঠেছে। উল্লেখ্য, গ্রামীন এই লোকসংস্কৃতি গুলো হচ্ছে নির্মল আনন্দ আর সম্প্রীতির উৎস। চৈত্রসংক্রান্তি পালন করতে গিয়ে প্রতিবেশী, বন্ধু বান্ধবসহ জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলের সাথে পরস্পরের প্রতি সম্প্রীতি বাড়ে এবং ভ্রাতৃত্ববোধ সুদৃঢ় হয়। এদিকে চৈত্রসংক্রান্তির প্রথম প্রহরে দেখা যায় বৌদ্ধ পল্লীগুলোর যুবক যুবতী ছেলেমেয়েরা ‘বুদ্ধস্নান উৎসব’ পালন করেন। এই বিষয়ে বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার প্রাক্তণ সভাপতি, জেলার প্রবীণ ধর্মাচার্য প-িত ভদন্ত সত্যপ্রিয় মহাথের’র কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বৌদ্ধ ধর্মে এই ধরনের অনুষ্ঠানের কোন বালাই নেই। এটা লোকাচার মাত্র। বুদ্ধস্নানের নামে তাদের উচ্ছৃংখল আচার আচরণ কখনো বৌদ্ধধর্মের বিষয়বস্তু হতে পারে না। কারণ বুদ্ধ সর্বকালে সর্বযুগে পবিত্র এবং পরিশুদ্ধ থাকেন। এই অপসংস্কৃতি অচিরেই বন্ধ হওয়া উচিত’।
‘জাগরে জাগ অ্যারো ঘরর জাগ
অক্কল ঘরর টেয়া পইস্যা
আরো ঘরর যাক’
এই আত্নকেন্দ্রীক আকুতি ভরা গ্রামীণ লোককথাগুলো
চৈত্র সংক্রান্তির আগমনে প্রতিবছর শুনা যায় রামুর বৌদ্ধ অধ্যুষিত পল্লীগুলোতে। স্থানীয় ভাষায় একে বলা হয় পরব (উৎসব)। গ্রামের উৎসবপ্রিয় ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা এখন থেকে জাগ সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। ১৩ এপ্রিল নিজ নিজ বাড়ির সামনে তারা জাগে আগুন জ্বালিয়ে সুরেলা কণ্ঠে সন্ধ্যার প্রকৃতিকে মুখরিত করে তোলবে। এ সময় বড়রা ও তাদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করবেন। চলতি বছর হিন্দু ও বৌদ্ধরা চৈত্রসংক্রান্তি পালন করবেন ১৩ এপ্রিল। কেননা ১৪ এপ্রিল পয়লা বৈশাখ শুভ বাংলা নববর্ষ। রামু উপজেলার প্রতিটি হিন্দু ও বৌদ্ধ পল্লীতে বর্তমান উৎসব মূখর পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রতিটি পল্লীতে চৈত্রসংক্রান্তির রকমারি খাবারের আয়োজন চলছে। ভাতের জিরা, বিভিন্ন ধানের খই, চাল ও খইয়ের নাড়ু, সুজির নাড়ু, পিঠা, পায়েস ইত্যাদি ঐতিহ্যগত খাবারগুলো চৈত্রসংক্রান্তির আকর্ষণীয় খাবার। শ্রমসাধ্য এই খাবার গুলো প্রস্তুুতে অনেক সময় নিয়ে নামতে হয়। ঘরের গৃহিনীরা বাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, ধোয়া মূছার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। শিশুরা নতুন নতুন পোষাক পাওয়ার আনন্দে মেতে উঠেছে। উল্লেখ্য, গ্রামীন এই লোকসংস্কৃতি গুলো হচ্ছে নির্মল আনন্দ আর সম্প্রীতির উৎস। চৈত্রসংক্রান্তি পালন করতে গিয়ে প্রতিবেশী, বন্ধু বান্ধবসহ জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলের সাথে পরস্পরের প্রতি সম্প্রীতি বাড়ে এবং ভ্রাতৃত্ববোধ সুদৃঢ় হয়। এদিকে চৈত্রসংক্রান্তির প্রথম প্রহরে দেখা যায় বৌদ্ধ পল্লীগুলোর যুবক যুবতী ছেলেমেয়েরা ‘বুদ্ধস্নান উৎসব’ পালন করেন। এই বিষয়ে বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার প্রাক্তণ সভাপতি, জেলার প্রবীণ ধর্মাচার্য প-িত ভদন্ত সত্যপ্রিয় মহাথের’র কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বৌদ্ধ ধর্মে এই ধরনের অনুষ্ঠানের কোন বালাই নেই। এটা লোকাচার মাত্র। বুদ্ধস্নানের নামে তাদের উচ্ছৃংখল আচার আচরণ কখনো বৌদ্ধধর্মের বিষয়বস্তু হতে পারে না। কারণ বুদ্ধ সর্বকালে সর্বযুগে পবিত্র এবং পরিশুদ্ধ থাকেন। এই অপসংস্কৃতি অচিরেই বন্ধ হওয়া উচিত’।