রবিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১২

কক্সবাজারবাণী সম্পাদকের বিরুদ্ধে কিশোরী অপহরনের অভিযোগ : এজাহার দায়ের

বিশেষ প্রতিবেদক,কক্সবাজার ॥
কক্সবাজারের একটি দৈনিকের বহুল সমালোচিত ও বিতর্কিত কথিত সম্পাদক ফরিদুল মোস্তাফা খান এর বিরুদ্ধে হাসিনা আক্তার নামের শহরের রুমালিয়া ছড়াস্থ ইস্ট ওয়েস্ট স্কুল এন্ড কলেজের পঞ্চম শেণীতে
অধ্যয়নরত এক কিশোরী অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই কিশোরী শহরের আলীর জাহাল এলাকার মৃত আলী আহমদের কন্যা। অপহরণের ঘটনায় কিশোরীর বড় বোন আরেফা বেগম বাদি হয়ে কক্সবাজার মডেল থানার এজাহার দায়ের করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ৫ এপ্রিল শহরের আলী জাহাল এলাকায়। ঘটনার ব্যাপারে ইতোমধ্যে পুলিশ সুপারের নির্দেশে কয়েক দফা তদন্ত করেছে বলে জানান মডেল থানা পুলিশ।
দায়েরকৃত এজাহার ও প্রাপ্ত  সূত্রে জানা গেছে, একাধিক স্ত্রীর অধিকারী লম্পট ফরিদুল মোস্তাফা প্রায় সময় ওই কিশোরীকে বিয়ে ও কু-প্রস্তাবসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছিল। তবে ওই লম্পটের বিরুদ্ধে অতীতের সকল লাম্পট্য ও অধিক বিবাহের ঘটনা জানতে পেরে তাকে এড়িয়ে চলছিল কিশোরীর পরিবার। এতে লম্পট ওই যুবক আলীর জাহাল এলাকায় এসে প্রতিনিয়ত কিশোরীকে উত্যোক্ত করে আসছিল। কিন্তু লম্পট ফরিদ একটি পত্রিকার সম্পাদক বলে তার বিরুদ্ধে ভয়ে আইনানুগ ভাবে কোন ব্যবস্থা নিতে সাহস পায়নি কেউ। সর্বশেষ ৫ এপ্রিল দুপুর দেড় টার দিকে ঔষুধ কিনতে বাসার পাশ্ববর্তী একটি ফার্মেসীতে গেলে ফরিদসহ কয়েকজন যুবক প্রকাশ্যে কিশোরী হাসিনা আক্তারকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক সিএনজিতে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ঘটনার পর অনেক খোঁজাখুজির পর জানা যায়, ওই লম্পট ফরিদের কাছে জিম্মি রয়েছে কিশোরী। এজাহারে আরও উল্লেখ রয়েছে, বিভিন্ন কৌশলে জেলার বিভিন্ন এলাকার নামিদামি পরিবারের সহজ সরল মেয়েদের বিয়ের নামে সম্ভ্রম হানি করে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করার ঘটনাও সকলের জানা রয়েছে। বাদি ও কিশোরীর বড় বোন আরেফা বেগম এজাহারে আরো উল্লেখ করেছে যে, তার কিশোরী বোনকে সম্ভ্রমহানি অথবা কোন পাচারকারীকে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যেসহ অনৈতিক কাজে বাধ্য করতে পারে এমন সম্ভবনায় দ্রুত তাকে লম্পটের হাত থেকে উদ্ধার করা জরুরী।
এদিকে বিষয়টি কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরকে অপহৃত কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে অবগত করা হলেও রহস্য জনক কারণে ঘটনার তিনদিন পরেও হাসিনাকে পুলিশ উদ্ধার করেনি। বরং উল্টো অপহরণকারী ওই ফরিদ থানায় এসে প্রকাশ্যে ঘুরাঘুরি করছে এবং এজাহার তুলে নিতে অব্যাহত হুমকি দিয়ে আসছে বলেও অভিযোগ করেছে কিশোরীর বড় বোন আরেফা বেগম।
অপরদিকে ওই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক বিহীত ব্যবস্থা নিতে কক্সবাজার মডেল থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ সুপার। নির্দেশ পাওয়ার পর মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ কামরুল ইসলাম বিষয়টি তদন্তপূর্বক তড়িৎ ব্যবস্থা নিতে উপ পরিদর্শক বাবুল আযাদকে নির্দেশ দেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। উপ পরিদর্শক বাবুল আযাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অপহরণ বিষয়টি নিশ্চিত করতে ব্যাপক তদন্ত চলছে। ইতোমধ্যে  কিশোরীর বয়স প্রমাণ করতে তার স্কুলে উপস্থিত হয়ে তদন্ত শুরু করেছি। বয়সে কিশোরী প্রমাণ হলেই ঘটনার বিষয়ে আইনানুগ ভাবে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কক্সবাজার মডেল থানার  অফিসার্স ইনচার্জ কামরুল ইসলাম’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনাটি অপহরণ কিনা তা তদন্ত চলছে। তাছাড়া অপহরণ হোক বা না হোক হাসিনা আক্তার কিশোরী প্রমাণ হলে অভিযুক্ত ব্যক্তি যেই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য মতে জানা যায়, ফরিদুল মোস্তফা খান জীবন বেগম নামের এক যুবতীকে বিয়ে করে তাকে দেহব্যবসায় নামাতে বাধ্য করলে সে কক্সবাজার শহরতলী বাংলাবাজারের জনৈক আলী আহমদ কোম্পানীর হাত ধরে পালিয়ে যায়। এরপর সে বিয়ে করে রাজধানীর রাকি নামের এক যুবতীকে। কিছুদিন পর তার অসৎ চরিত্রের কথা জানতে পেরে ফিরে যায় নিজ বাড়িতে। এর কয়েক মাস যেতে না যেতেই স্ত্রী টেকনাফের হ্নীলার প্রবাসী কন্যা জ্যো¯œা বেগম নামের এক ব্যক্তির বিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে এসে সংসার বাঁধলে তার ঘরে ফুটফুটে দু’টি কন্যা ও একটি পুত্র সন্তান জন্ম লাভ করে। এ অবস্থায় স্ত্রী তিন বাচ্চাকে রেখে ৫ এপ্রিল হাসিনা আক্তার নামের কিশোরীকে অপহরণ করেছে।


এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...