॥ ফারুক আহমদ, উখিয়া ॥
উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কেরামতিতে গ্রাহকরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এছাড়াও ফিডারের নামে স্বজন প্রীতি, অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্ব আচরণে কৃষকদের বোরো চাষে আশানুরোপ ফলন না হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার এশিয়া কাপ ক্রিকেট ফাইনাল খেলায় শুধু মাত্র বিদ্যুৎ
আসা যাওয়া করেছে ৬০ বারের অধিক। ৫ মিনিট ১০ মিনিট পরপর বিদ্যুৎ আসা যাওয়ার কারণে ক্রিকেট প্রেমিকরা হতাশ হয়ে পড়েছিল। কোন কারণে ৬/৭ মিনিট বিদ্যুৎ থাকলেও আবার ৩০ মিনিটের জন্য চলে যায়। এদিকে কৃষকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে বোরো চাষের পিক আওয়ার। এ সময় সেচ দিতে না পারলে ধান চাষ মরে যাবে। তারা আরো জানান, দৈনিক ২৪ ঘন্টায় বিদ্যুৎ পাওয়া যায় মাত্র ২ ঘন্টা। তাও ১০ মিনিটের অধিক থাকে না। এভাবে চলতে থাকলে কৃষক সমাজ বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ভালুকিয়া রোডের ব্যবসায়ী রফিক আহাম্মদ সওদাগর জানান, বিদ্যুতের লোডশেডিং অতীতের সকলকে রেকর্ড ভঙ্গ করেছে এ মৌসুমে। বিদ্যুতের অভাবে সেচ পাম্প চলতে পারছে না। এছাড়াও পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের কারসাজি ও স্বজন প্রীতির শিকার হয়ে যেন আমাদের উপর মরার উপর খাড়ার ঘাঁ উপক্রম হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, পক্ষপাতিত্ব আচরণ করে মরিচ্যা ফিডারে বিদ্যুৎ সরবরাহ সব সময় কম দেওয়া হয়। গ্রাহকরা জানান, বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং ও মাত্রারিক্ত আসা যাওয়ার কারণে ফ্রিজ, টেলিভিশন, কম্পিউটার সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী নষ্ট হচ্ছে। এ ব্যাপারে উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম এর সাথে মোবাইলে অনেকবার কল করেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কেরামতিতে গ্রাহকরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এছাড়াও ফিডারের নামে স্বজন প্রীতি, অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্ব আচরণে কৃষকদের বোরো চাষে আশানুরোপ ফলন না হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার এশিয়া কাপ ক্রিকেট ফাইনাল খেলায় শুধু মাত্র বিদ্যুৎ