॥ এমএ মান্নান, কুতুবদিয়া ॥
কুতুবদিয়ায় সবার জন্য স্বাস্থ্য সম্মত লেট্রিন ব্যবহারে জাতীয় স্যানিটেশন কার্যক্রম ভেঙে পড়েছে। সম্ভাব্য প্রয়োজনীয় লেট্রিন, লেট্রিন ব্যবহারে নিশ্চিতের হার বা শত ভাগ সফলতা নিরূপনে মাঠ পর্যায়ে জরীপ হয়না প্রায় ৯ বছর ধরে।
২০০৫ অর্থ বছরে সরকারের চাপ ও মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে উপজেলায় স্বাস্থ্যসম্মত লেট্রিন স্থাপনে বেশ সাড়া পড়ে। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ জানায়,উত্তর ধুরুং ইউনিয়েনে প্রথম শতভাগ সাফল্য এনে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রনালয় থেকে পুরুষ্কার পান সৎসময়ের ইউপি চেয়ারম্যান আ.স.ম শাহরিয়ার চৌধুরী। সর্বশেষ শতভাগ নিশ্চিত হয় লেমশীখালী ইউনিয়নে। শুধু কাগজে-কলমের গতানুগতিক ভাবে ওই রিপোর্টটিই তৈরি করে ৫ বছর ধরে উর্ধতন অফিসে প্রেরণ করা হচ্ছে। বর্তমানে স্যানিটেশন কার্যক্রমের উন্নতি বা অবনতি-তার কোন পরিসংখ্যান নেই সংশি¬ষ্ট দপ্তরে।
উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে স্বাস্থ্য সম্মত লেট্রিন ব্যবহার শতভাগ নিশ্চিত করণে সংশি¬ষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানের দায়সারা পরিস্থিতি চলছে বলে সংশি¬ষ্ট সূত্রে জানা গেছে। স্থানীয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস ষ্টাফ মিজান জানান, এডিপির প্রাপ্ত শতকরা ২০ ভাগ অর্থে জাতীয় স্যানিটেশন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২০১১ সালে ৯০ সেট লেট্রিন তৈরি হলেও ১০ মাসে বিক্রি হয়েছে ৬০ সেট। প্রশাসনিক তদারকি না থাকায় তাদের তৈরি লেট্রিন সামগ্রীও বিক্রি হচ্ছে ঢিলে-তালে। এ ছাড়া এডিপি থেকে প্রাপ্ত বরাদ্ধের একটি অংশ লেট্রিন সামগ্রী তৈরি ও বিনা মূল্যে বিতরণের দায়িত্বে রয়েছে স্থানীয় এলজিইডি বিভাগ।
উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোহসিন জানান,এডিপি‘র বরাদ্ধের ১০-১৫ শতাংশ অর্থ বিনামূল্যে স্যানিটেশন সামগ্রী সহ একাধিক খাতে ব্যয় হয়ে থাকে। গত ২০১১ সালে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে ১২৫১ সেট লেট্রিন সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এর আগের কোন তথ্য তাদের কাছে নেই বলে তিনি জানান। ৩ বছর যাবৎ প্রতিবেদন তৈরিতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগে স্যানিটেশন কার্যক্রমের কোন রিপোর্ট তৈরি নেই। এলজিইডি থেকে পাওয়া সর্বশেষ ২০০৮ সালে ৪৬০ লেট্রিন নির্মাণ ও বিতরণ কাজে এডিপির বরাদ্ধের ৫ লক্ষ ৩০ হাজার ৪০ টাকা এবং ২০ হাজার ৯৬০ টাকা উদ্বৃদ্ধকরণ কাজে ব্যয় হয়েছে।
চকরিয়া,পেকুয়া,মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় দায়িত্বপ্রাপ্ত জসস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো: কামাল হোসেন জানান, কুতুবদিয়ায় ২০০৩ সালের পর স্যানিটেশন কার্যক্রমের মাঠ পর্যায়ে আর কোন জরীপ হয়নি। কার্যক্রমে অংশীদার এলজিইডি প্রয়োজণীয় সহযোগীতা না চাওয়ায় তিনিও খোজঁ-খবর নিচ্ছেননা বলে জানান।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার এম.এম মহিউদ্দিন কবীর মাহিন বর্তমানে উপজেলায় স্বাস্থ্যসম্মত লেট্রিন ব্যবহারে স্যানিটেশন কার্যক্রমে চরম অবনতির কথা তিনি স্বীকার করে বলেন- জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী নেই। ইউপি চেয়ারম্যানদেরও গাফেলতি রয়েছে।এ অবস্থায় ২০১৩ সালের মধ্যে সরকারি জাতীয় স্যানিটেশন কার্যক্রমে সবার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত লেট্রিন ব্যহার শত ভাগ নিশ্চিত হওয়ার সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। তবে এ ব্যাপারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা সহ জনগনকে সচেতন করতে তিনি পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেন।