শনিবার, ২৪ মার্চ, ২০১২

কক্সবাজারের শীর্ষ দেহ ব্যবসায়ী ঢাকাইয়া হাসান অপহরণের দায়ে আটক : চাঞ্চল্যকর তথ্য উৎঘাটন

॥ ক্রাইম রিপোর্টার ॥  
কক্সবাজার শহর থেকে শিশু অপহরণের দায়ে জেলার শীর্ষ তালিকাভূক্ত দেহ ব্যবসায়ী হাসান আহমেদ প্রকাশ ঢাকাইয়া দালাল হাসানকে আটক করেছে পুলিশ। সে রাজধানীর নারায়নগঞ্জ’র ফতুল্লা থানাধীন পাইলট স্কুলের পার্শ্ববর্তী এলকার মিজান আহমেদের পূত্র। সে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কক্সবাজার শহরে বসবাস
করে আসছে। শুক্রবার দুপুর ২টায় শহরের গোলদীঘির পাড় এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাকে আটক করে।

জেলা গোয়েন্দা শাখা ও সূত্র জানায়, ৬ মার্চ সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহরের গোলদীঘির পাড় এলাকার বড় কবরস্থানের পাশের নিজ বাড়ির সামনে থেকে এক আইনজীবীর তৃতীয় শ্রেণীতে পড়–য়া ৮ বছরের শিশু কন্যা অপরহরণ হয়। অপহরণের প্রায় ৫ ঘন্টা পর রাত ৯ টার দিকে কলাতলীস্থ হোটেল-মোটেল জোন এলাকার সামনের সড়ক থেকে দিক-বিদিক ঘুরাকালে খবর পেয়ে মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ফজলুল হক তাকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়। পরে উদ্ধার শিশুর দেয়া তথ্যানুযায়ী খোঁজ নিয়ে দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর খোঁজ নিয়ে গোলদীঘির পাড়স্থ জনৈক প্রবাসী শাহিনের বাড়ি ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে ভাড়ায় বসবাসরত বাড়ি থেকে ওই শিশু অভিযোগে অপহরণের ঘটনায় অভিযুক্ত তালিকা ভুক্ত শীর্ষ দেহ ব্যবসায়ী হাসান আটক করা হয়। দালাল হাসানকে ডিবি পুলিশের ওসি বাসু দত্তের নেতৃত্বে আটকের খবর পেয়ে ওই কিশোরীকে নিয়ে তার পিতা-মাথা জেলা গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি কার্যালয়) হাজির হলে সেখানে সৃষ্টি হয় এক হৃদয় বিদারক ঘটনা। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকসহ সকলের দিকে দেখিয়ে শিশুটিকে সনাক্ত করতে বলা হয় আসল অপরাধী কে। ওসময় শিশু সকলকে দেখার পর দালাল হাসানকে দেখেই তার দিকে আঙ্গুল দিখিয়ে বিকট শব্দে চিৎকার করতে থাকে। তার চিৎকারে গোয়েন্দা শাখাসহ পুরো পুলিশ সুপারের কার্যালয়টি কেঁপে উঠে। চিৎকারে আতকে উঠে উপস্থিত সকলই। পরে হাসানকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

অপহৃতা শিশুর পিতা জেলা গোয়েন্দা শাখা উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, ৬ মার্চ ঘটনার দিন তার নিজ বাড়ির সামনে থেকেই ওই শিশুর মূখে রুমাল দিয়ে অজ্ঞান করা হয়। পরে তাকে একটি কালো রংয়ের মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়ারকালে শহরের দক্ষিণ বাহারছড়াস্থ বাইতুস সালাত জামে মসজিদের সামনে গেলেই জ্ঞান ফিরলে চিৎকার করতে থাকলে অবস্থার বেগতিক দেখে হোটেল ওশান প্যারাডাইসের সামনে শিশুটিকে নামিয়ে দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় ৪/৫ জন অপহরণকারী। এরপর সে উদ্ধার হওয়ার পর তার দেয়া তথ্যানুযায়ী অজ্ঞাতনামা আসামী করে মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী রুজু করা হয়েছে ৯ মার্চ। অপহরণের বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে বলেও ওই শিশুর আইনজীবী পিতা জানান। পরে শিশুটি তাকে অপহরণের বিষয়টি পুলিশকে জানায়।

এদিকে শীর্ষ দালাল হাসানকে আটকের পর পুলিশ ও গোয়েন্দা সদস্যকে দেয়া তথ্য ছাড়াও বিভিন্ন মাধ্যমে বেরিয়ে আসে তার অপরাধ জগতের নানা রহস্যজনক ঘটনা। প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, শীর্ষ দালাল ঢাকাইয়া হাসান প্রায় ২০ বছর পূর্বে কক্সবাজারে এসে নুনিয়ার ছড়াস্থ বরফ কলে চাকুরী করে। চাকুরীর ফাঁকে ধীরে ধীরে তার সাথে পরিচয় হয় জেলা বড় মাপের মূখোশধারী অপরাধীদের সাথে সখ্য গড়ে উঠে। শুরু করে দেয় দেহ ব্যবসা। তার অপরাধ ব্যবসায় জেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্রীসহ সভ্রান্ত পরিবারের কন্যাদের ফুশলিয়ে অথবা ব্ল্যাক ম্যাইলিং করে দেহ ব্যবসায় নামতে বাধ্য করে। পরে তাদের বিভিন্ন লোক(যারা সমাজে অথবা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন) এবং বিভিন্ন প্রশাসনের কিছু দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দিয়ে তাদের আস্তাভাজন হয়ে উঠতে সক্ষম হয়। নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে প্রশাসনসহ বড় মাপের লোকদের।

দীর্ঘদিন অপরাধ কর্মকান্ড সৃষ্টির পর বিগত জরুরী অবস্থায় বিশেষ সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার হাতে আটকের পর আবারও মুক্তিলাভ করে শুরু করে দেহ ব্যবসাসহ নানান অপরাধ।

একাধিক বিস্বস্থ সূত্র জানান, ওই হাসান বর্তমানে তার অপরাধ কর্মকান্ডের নিরাপদ স্থান হিসাবে গড়ে তুলেছে শহরের কলাতলীস্থ অভিজাত হোটেল ছাড়াও পর্যটন মোটেল লাবনী, মোটেল প্রবাল ও প্রবালের পানাহার রেস্তোরা।

সচেতন মহলের দাবী ধৃত শীর্ষ ওই হাসানকে রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে বেরিয়ে আসবে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য।

এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...