॥ এম ছালামত উল্লাহ,মহেশখালী ॥
কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের মহান মোর্শেদ আওলাদে রাসূল হযরতুলহাজ্ব শাহ্ছুফি অধ্যক্ষ আল্লামা ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ্ আহমদী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী বলেছেন, জাতি হিসেবে শ্রেষ্ঠ হচ্ছে মুসলিম জাতি। এ জাতির রয়েছে একটি অসাধারণ সুন্দর সংষ্কৃতি ও ঐতিহ্য। অথচ বর্তমানে মুসলমানেরা
অনৈসলামিক সংস্কৃতি ও ভাবধারায় প্রভাবিত হয়ে তাদের অতীতের সব অর্জনকে ম্লান করছে। আর তাই মুসলমানদেরকে বিশেষত যুব সমাজকে ইসলামের নিজস্ব সংষ্কৃতি ও ঐতিহ্যকে লালন করে কোরআন-সুন্নাহ্র আলোকে আলোকিত জীবন গঠনে পরামর্শ দেওয়ার জন্য খলিফায়ে রাসুল (দ.) কাগতিয়ার গাউছুল আজম প্রতিষ্ঠা করেছেন এ দরবার ও অরাজনৈতিক তরিক্বতভিত্তিক আধ্যাত্মিক সংগঠন মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ। যার মনোগ্রাম ইতোমধ্যে অলৌকিকভাবে বিভিন্ন বৃক্ষের পাতায় উদ্ভাসিত হয়েছে। যার মাধ্যমে এ আধ্যাত্মিক সংগঠনের কবুলিয়তের প্রমাণ পাওয়া যায়। তিনি ২৩ মার্চ’১২ইং শুক্রবার চট্টগ্রাম হাটহাজারীর নজুমিয়া হাট চত্বরে পবিত্র ফাতেহায়ে এয়াজদাহুম উদ্যাপন উপলক্ষে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ ১১৫নং নজুমিয়া হাট শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এক বিশাল এশায়াত মাহফিলে উপস্থিত হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমানের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
তিনি আরও বলেন, এ দরবারের ফয়েজে কোরআন হচ্ছে এমন এক রূহানী প্রযুক্তি- যা অন্তঃকরণে জীবন্ত এবং শক্তিশালী ঈমানী চেতনা সৃষ্টি করে অন্তরে ঐশী আলো প্রজ্জ্বলিত করে। বস্তুতঃ এর নূরানী আলোতে নিজেকে আলোকিত ও উদ্ভাসিত করে প্রকৃত ইন্সানে কামেলে পরিণত করা যায়।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর সম্মানিত বোর্ড সদস্য জনাব ইউনুছ গণি চৌধুরীর সভাপতিত্বে মাহফিলে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের ওলামা পরিষদের সচিব মুফতি মুহাম্মদ ইব্রাহিম হানফি, উপাধ্যক্ষ আল্লামা মুহাম্মদ বদিউল আলম আহমদী, আল্লামা মুহাম্মদ আশেকুর রহমান, মাওলানা মুহাম্মদ বশির উদ্দিন। প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক মুহাম্মদ ফোরকান মিয়া।মাহফিলে এলাকার অনেক গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও সর্বস্তরের হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ সুন্নি জনতা উপস্থিত ছিলেন।
মিলাদ-কিয়াম শেষে প্রধান অতিথি দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং দরবারের প্রতিষ্ঠাতা কাগতিয়ার গাউছুল আজমের আশু রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন।