মঙ্গলবার, ২০ মার্চ, ২০১২

বাংলাদেশ ও মিয়ানমার এর মধ্যকার সীমান্ত জরিপের প্রথম পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পথে

॥ বিশেষ প্রতিবেদক, কক্সবাজার ॥ 
বাংলাদেশ ও মিয়ানমার এর মধ্যকার সীমান্ত জরিপের প্রথম পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পথে রয়েছে। উভয় দেশের প্রতিরা মন্ত্রণালয়ের যৌথ সার্ভেটিম গত বছরের নভেম্বর থেকে স্থল সীমানা চিহ্নিত করণ পিলার স্থাপনের কাজ শুরু করে। কাজটি চলতি মাসের শেষ তারিখ পর্যন্ত চলবে। তবে ইতিমধ্যে দু’দেশের প্রথম পর্যায়ের ১২টি সীমান্ত
পিলার স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জরিপ দল সূত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশের প্রতিরা মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ জরিপ দলের সীমান্তে নিযয়োাজিত ক্যাম্প অফিস-১ এর অফিসার ইনচার্জ হোসেন আহমদ রামু নিউজকে বলেন, মিয়ানমার প্রতিরা মন্ত্রণালয়েরর সার্ভেটিম এর সাথে যৌথভাবে সমন্বয় করে গত বছরের ২৩ নভেম্বর থেকে উভয় দেশের সীমানা চিহ্নিত করণ ও পিলার স্থাপনের কাজ শুরু হয়। যদিও চলতি মাস পর্যন্ত এ কাজ চলার কথা থাকলেও ইতিমধ্যে তাদের নির্ধারিত কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুম ৩১নং সীমানা পিলার থেকে ৪২নং সীমানা পিলার পর্যন্ত জরিপ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। উভয় দেশের জরিপ দলের স্থাপিত সীমানা পিলারের উভয় পাড়ের নূন্যতম দেড়শ ফুট এলাকা নো-ম্যান্স ল্যান্ড হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জরিপ দ ল সূত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যকার কথিত উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে সীমানা জরিপ কাজে কোন সমস্যা হচ্ছেনা বলেও তারা জানান।
সোমবার ১৯ মার্চ সীমান্তের তুমব্র“ ৩৩নং সীমান্ত পিলার এলাকায় । বাংলাদেশ সার্ভে দলের ২৮ জন ও মিয়ানমারের সার্ভে দলের ২৯ জন সদস্য যৌথ ভাবে সীমানা জরিপ কাজে অংশগ্রহন করে বলে উভয় দেশের প্রতিনিধিরা জানান। বাংলাদেশ জরিপ দলের ক্যাম্প অফিস-১ এর ইনচার্জ হোসেন আহমদ ও মিয়ানমার জরিপ দলের ক্যাম্প অফিস-১ এর অফিসার ইনচার্জ ঝ নিং তাদের মধ্যে খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে দীর্ঘ প্রায় ৪ মাস ধরে সীমান্ত জরিপ কাজ চালাচ্ছেন বলে রামু নিউজকে জানান।
মিয়ানমার জরিপ দলের কর্মকর্তা রামু নিউজকে বলেন, জরিপ কাজ চলাকালে স্থানীয লোকজন ও উভয় দেশের সীমান্তরী বাহিনী সার্বিক সহযোগীতা প্রদান করেন। আমাদের উভযয় দেশের জরিপ দলের সদস্যদের মধ্যে দীর্ঘ সময় একসাথে কাজ করে সৌহার্দ্য ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ ও সম্পর্ক গড়ে উঠে বলে তিনি দাবী করেন।
সীমান্তের ১নং পিলার থেকে ৩০নং পিলার পর্যন্ত সীমানা নদী বেষ্টিত হওয়ায় তা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন সংস্থা ও মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন সংস্থা বা নৌ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন হাইড্রোগ্রাপী যৌথ জরিপ দল পরবর্তীতে এ সীমানা চিহ্নিত করণের কাজ চালাবে। অপর দিকে স্থল সীমানার ৪২নং পিলার থেকে পরবর্তী সীমানা জরিপ ও চিহ্নিত করণের কাজ আগামী বছর থেকে শুরু হবে বলে উভয় দেশের প্রতিনিধিরা জানান।
উল্লেখ্য যে, গত কয়েক দিন ধরে সীমান্তের মিয়ানমার অংশে সীমান্তরী নাসাকা বাহিনীর পাশাপাশি সেনা সদস্য মোতায়ন সম্পর্কে উভয় দেশের প্রতিনিধিরা এ ধরনের সংবাদকে সত্য নয় বলে দাবী করেন।

এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...