মঙ্গলবার, ২০ মার্চ, ২০১২

উখিয়া-টেকনাফে আইন শৃঙ্খলা জিমিয়ে পড়ায় চোরাচালান অব্যহত রয়েছে

॥ মহসীন শেখ, কক্সবাজার ॥  
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত ও চোরাই পথ দিয়ে চোরা চালান অব্যহত থাকায় আইন শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়ার আশংকা রয়েছে। বিশেষ করে মতাসীন দলের ছত্রছায়ায় এসব চোরা চালানিরা নির্ভিগ্নে নিরাপদে এ কাজ অব্যাহত রাখায় ছাত্র ও যুবসমাজ ধ্বংসের অতল তলে ডুবে যাচ্ছে। এতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের কার্যক্রম  জিমিয়ে পড়ায়
দেশ হুমকির মূখে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। চোরাকারবারিদের মরণ নেশা ইয়াবার পরিবর্তে অগ্রিম দাদন হিসেবে চোরাই মটর সাইকেল পাচার করে দিচ্ছে স্থানীয় একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এদিকে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন তদারকিতে নিয়োজিত থাকলেও তাদের খামখেয়ালীপনার কারনে চোরকারবারিরা ধীর গতিতে এ ব্যবসা চালিয়ে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে  কলা গাছে পরিণত হয়ে আগামী প্রজন্মকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এতে জাতি হারাচ্ছে মেধাবী দেশ গড়ার কারীগরদের। প্রশাসন যদি একটু তৎপর হতো তাহলে দেশে মাদক দ্রব্য ও অপরাধ কর্মকান্ড হ্রাস পেয়ে দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে আসত এবং দেশের মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেত। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম জিমিয়ে পড়ায় বর্তমানে দেশে যেভাবে অপরাধমূলক কর্মকান্ড ও চোরা চালান বৃদ্ধি পেয়েছে তা অব্যহত থাকলে শীঘ্রই দেশ মাদক রাজ্যে পরিনত হয়ে দূর্নীতির শীর্ষে পৌঁছে যাবে এতে কোন সন্দেহ নেই। উখিয়া সীমান্তের করইবনিয়া, ডেইল পাড়া, দরগাহ বিল, হাতি মোরা, আছার তলী, বালুখালী, কুতুপালং কচুবনিয়া, ধামনখালী, ঘুমধুম, পালংখালী, আনজুমান পাড়া ও নাফ নদী সীমান্ত দিয়ে প্রতিনিয়ত বানের  স্রোতের মত দেশে প্রবেশ করছে ইয়াবার চালান। এসব চোরা চালানের সাথে স্থানীয় চিহ্নিত চোরা কারবারীরা জড়িত রয়েছে বলে একাধিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ফলে চোরা চালানিরা দিনের পর দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। যদিও উখিয়া উপজেলার চোরা চালান দমনের ব্যাপারে প্রতিমাসে আইন শৃংখলা ও চোরাচালান প্রতিরোধ বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হলেও চোরাচালান দমনে প্রশাসনের নানা নাটকীয়তার কারনে চোরাকারবারী চুনোপুটিরা ধরা খেলেও রাঘববোয়ালরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সরকারী এই সিদ্ধান্ত লাল ফিতায় বন্দি থাকায় সীমান্ত এলাকায় চোরা চালান প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা, চোরা কারবারী ও মতাসীন দলের কতিপয় পাতিনেতার একটি সিন্ডিকেট এ ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা রাতারাতি কোটি পতি হওয়ার স্বপ্নে দেশ বিরোধী নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। শুধু তাই নয় উক্ত চোরা কারবারীরা মিয়ানমারের ব্যবসায়ীদের নিকট দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করারও অভিযোগ উঠেছে। এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচারের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে মোবাইল ফোন ও মোটর সাইকেল। টেকনাফ থেকে উখিয়া ভিত্তিক একটি সিন্ডিকেট তথ্য পাচারের জন্য বেঁছে নিয়েছে মোবাইল নেটওয়ার্ক। মিয়ানমারের মংন্ডু ও টেকনাফ, উখিয়া নিয়ে গঠিত হয়েছে মোবাইল নেটওয়ার্ক। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে চোরা চালান থেকে শুরু করে সমস্ত অপরাধ কর্মকান্ডের অর্থনৈতিক লেনদেন করে থাকে চোরাকারবারীরা। এভাবে তারা কৌশলে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী লোকজনের নিকট হাত বদল করে এ ব্যবসা চালিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা কর্মচারিরা নিরবতা পালন করায় দেশে চোরা চালান ও অপরাধ কর্মকান্ড বৃদ্ধি পেয়ে নানান সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই দেশ ও জাতিকে মাদক মুক্ত করতে হলে প্রশাসনকে আর একটু ভূমিকা পালন করতে হবে এমন অভিমত সচেতন মহলের। এ ব্যপারে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, চোরা চালানিরা অবশ্যই দেশের শত্র“। চোরা চালান ও অপরাধমূলক কর্মকান্ড দমনে প্রশাসন সব সময় তৎপর রয়েছে। জনগণের সহযোগীতা পেলে তা রোধ করা আরোও সহজ হবে।

এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...