॥ নিজস্ব প্রতিবেদক,মহেশখালী ॥
মহেশখালীর কালারমারছড়ায় সন্ত্রাসী খলিল বাহিনী কর্তৃক দিন দুপুরে এক বিধবার বসত বাড়ী থেকে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রজাতির শতাধিক গাছ কর্তন করে নিয়ে গেছে । এ সময় সন্ত্রাসীরা বসতবাড়ীতে ভাংচুর করে এবং ব্যাপক লুটপাট চালায়। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ২৭ মার্চ উপজেলার ক্রাইমজোন হিসেবে খ্যাত কালারমারছড়া নোনাছড়ি গ্রামের বিধবা জোহরা বেগম স্বামী মৃত ছৈয়দ আহমদের বাড়ীতে একই এলাকার চানঁ মিয়ার পুত্র সন্ত্রাসী ও একাধিক মামলার পলাতক আসামী খলিল ডাকাতের নেতৃর্ত্বে একদল সন্ত্রাসী জোর পূর্বক বাড়ীতে প্রবেশ করে বাড়ীর লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে আড়াই লক্ষ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রজাতির শতাধিক গাছ কর্তন করে নিয়ে যায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা বাড়ীঘর ভাংচুর করে এবং ব্যাপক লুটপাট চালায়। এ সময় তাদের বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা বিধবা জোহরা বেগমকে ব্যাপক মারধর করে। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সম্প্রতি গনপিটুনিতে বজল ডাকাত নিহত হওয়ার পর এই খলিল বাহিনীর প্রধান খলিল উত্তর মহেশখালীতে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে বলে এলাকাবাসীরা জানান। সুত্রে প্রকাশ পুলিশ ফাড়ির এস,আই এরশাদ ওই সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা নিয়ে থাকেন স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ। ফলে খলিল বাহিনী নিরহ লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে বিভিন্ন চিংড়ি ঘের দখল,পানের বরজ লুট, সড়ক ডাকাতি সহ এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কয়েম করছে। এ ব্যাপারে কালারমারছড়ার পুলিশ পাড়ির ইনচার্জ এস,আই এরশাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে উত্তাপিত অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবী করেন। জানা যায়,সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় হত্যা,ডাকাতি,র্ধষণ,জলদস্যুতা,চাদাবজি,বনভুমি দখল,পানের বরজ লুট,অস্ত্র,মাদক দ্রব্য ,চোরাচালানসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে থানা সুত্রে প্রকাশ।