॥ সোয়েব সাঈদ ॥
রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়নি। এ নিয়ে ওই এলাকার জনপ্রতিনিধি, সচেতন মহল ও সাধারণ জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। জানা গেছে, ২৬ মার্চ উপলক্ষে জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদ নানা আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করে। ওই অনুষ্ঠানে একটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় অংশ নেয়নি। বিদ্যালয়গুলো হচ্ছে, জোয়ারিয়ানালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঘোনারপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ইলিশিয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়া জোয়ারিয়ানালা এইচ এম সাঁচি উচ্চ বিদ্যালয়ও স্বাধীনতা দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়নি। ফলে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ওই দিন বিক্ষোভ প্রকাশ করে।
জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএম নুরুচ ছাফা এসব বিদ্যালয় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, ইউনিয়নের সবকটি বিদ্যালয়কে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার জন্য চিঠি দেয়া হয়েছিলো। এরপর কিছু স্বার্থান্বেসী মহলের ইন্ধনে ওই প্রতিষ্ঠানগুলো অনুষ্ঠানে অংশ নেয়নি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ঘোনারপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম জানান, অনুষ্ঠানের মাত্র ৪ দিন আগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার জন্য তাদের চিঠি দেয়া হয়েছিলো। এত স্বল্প সময়ে প্রস্তুতি নিতে না পারায় অনুষ্ঠানে আমরা অংশ নিইনি। তিনি আরো জানান, ওই বিদ্যালয়ে নিজস্ব উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হচ্ছে।
জোয়ারিয়ানালা এইচ এম সাঁচি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওয়াহিদ সাদিক জিশান, মোঃ শাকিল, নাজমুল হক, কাউছার, মোঃ ফরিদ, আজমির ও গিয়াস উদ্দিন জানান, মহান স্বাধীনতা দিবসে তাদের বিদ্যালয়ে কোন আয়োজন ছিলো না। এমনকি ইউনিয়ন পরিষদের অনুষ্ঠানেও তাদের অংশ নিতে দেয়নি শিক্ষকরা।
অনেক শিক্ষার্থী জানান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোতাহেরুল হকের সাথে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরোধ রয়েছে। একারনে এ অবস্থা হয়েছে। মোতাহেরুল হক সিকদার সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে এমন আরো দুটি বিদ্যালয়ও অনুষ্ঠানে আসেনি। এ নিয়ে নানা সমালোচনা চলছে এলাকায়। জোয়ারিয়ানালা এইচ এম সাঁচি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ হোছাইন জানান, তারা সকালে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রস্তুতি না থাকায় অংশ নিতে পারেনি।
এদিকে রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদ এর আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করা হয়েছে। সকালে জেয়ারিয়ানালা এইচ এম সাঁচি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শিশু শিক্ষার্থীরা কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করে। প্রধান অতিথি ছিলেন, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আন্তঃ ইউনিয়ন স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি এমএম নুরুচ ছাফা। এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সোনাইছড়ি খাল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সভাপতি আবছার কামাল সিকদার, সাবেক শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদ সচিব শামসুল আলম, যুবলীগ নেতা জহির উদ্দিন, শিক্ষক মুজিবুল আলম, আমজাদ হোসেন, আবদুচ সোবহান, ফরিদুল আলম, কল্পনা রানী শর্মা, সাবেক ইউপি সদস্য জসিমুল ইসলাম, শিক্ষক মনোহরী বড়ুয়া, হোসনে আরা বেগম, মোহাম্মদ ইসলাম, মোজাফ্ফর আহমদ, মোস্তাক আহমদ, ফখরুদ্দিন টিটু, কাউছার জাহান, তাজল বড়ুয়া, আওরঙ্গজেব, শফিকুর রহমান, মোক্তার আহমদ প্রমূখ। এছাড়াও মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য-সদস্যাবৃন্দ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা অংশ নেয়। এ অনুষ্ঠানে আন্তঃস্কুল ক্রীড়া প্রতিযোগতিায় বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম হয়ে জাতীয় পর্যায়ে অংশ গ্রহনের সুযোগ পাওয়ায় উত্তর মিঠাছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী কামরুন্নাহারকে নগদ অর্থ ও ক্রেষ্ট তুলে দেয়া হয়। এছাড়া অন্যান্য প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, শিক্ষক মোহাম্মদ হোছাইন ও বিশ্বজিৎ শর্মা।
জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএম নুরুচ ছাফা এসব বিদ্যালয় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, ইউনিয়নের সবকটি বিদ্যালয়কে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার জন্য চিঠি দেয়া হয়েছিলো। এরপর কিছু স্বার্থান্বেসী মহলের ইন্ধনে ওই প্রতিষ্ঠানগুলো অনুষ্ঠানে অংশ নেয়নি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ঘোনারপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম জানান, অনুষ্ঠানের মাত্র ৪ দিন আগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার জন্য তাদের চিঠি দেয়া হয়েছিলো। এত স্বল্প সময়ে প্রস্তুতি নিতে না পারায় অনুষ্ঠানে আমরা অংশ নিইনি। তিনি আরো জানান, ওই বিদ্যালয়ে নিজস্ব উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হচ্ছে।
জোয়ারিয়ানালা এইচ এম সাঁচি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওয়াহিদ সাদিক জিশান, মোঃ শাকিল, নাজমুল হক, কাউছার, মোঃ ফরিদ, আজমির ও গিয়াস উদ্দিন জানান, মহান স্বাধীনতা দিবসে তাদের বিদ্যালয়ে কোন আয়োজন ছিলো না। এমনকি ইউনিয়ন পরিষদের অনুষ্ঠানেও তাদের অংশ নিতে দেয়নি শিক্ষকরা।
অনেক শিক্ষার্থী জানান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোতাহেরুল হকের সাথে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরোধ রয়েছে। একারনে এ অবস্থা হয়েছে। মোতাহেরুল হক সিকদার সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে এমন আরো দুটি বিদ্যালয়ও অনুষ্ঠানে আসেনি। এ নিয়ে নানা সমালোচনা চলছে এলাকায়। জোয়ারিয়ানালা এইচ এম সাঁচি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ হোছাইন জানান, তারা সকালে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রস্তুতি না থাকায় অংশ নিতে পারেনি।
এদিকে রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদ এর আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করা হয়েছে। সকালে জেয়ারিয়ানালা এইচ এম সাঁচি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শিশু শিক্ষার্থীরা কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করে। প্রধান অতিথি ছিলেন, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আন্তঃ ইউনিয়ন স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি এমএম নুরুচ ছাফা। এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সোনাইছড়ি খাল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সভাপতি আবছার কামাল সিকদার, সাবেক শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদ সচিব শামসুল আলম, যুবলীগ নেতা জহির উদ্দিন, শিক্ষক মুজিবুল আলম, আমজাদ হোসেন, আবদুচ সোবহান, ফরিদুল আলম, কল্পনা রানী শর্মা, সাবেক ইউপি সদস্য জসিমুল ইসলাম, শিক্ষক মনোহরী বড়ুয়া, হোসনে আরা বেগম, মোহাম্মদ ইসলাম, মোজাফ্ফর আহমদ, মোস্তাক আহমদ, ফখরুদ্দিন টিটু, কাউছার জাহান, তাজল বড়ুয়া, আওরঙ্গজেব, শফিকুর রহমান, মোক্তার আহমদ প্রমূখ। এছাড়াও মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য-সদস্যাবৃন্দ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা অংশ নেয়। এ অনুষ্ঠানে আন্তঃস্কুল ক্রীড়া প্রতিযোগতিায় বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম হয়ে জাতীয় পর্যায়ে অংশ গ্রহনের সুযোগ পাওয়ায় উত্তর মিঠাছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী কামরুন্নাহারকে নগদ অর্থ ও ক্রেষ্ট তুলে দেয়া হয়। এছাড়া অন্যান্য প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, শিক্ষক মোহাম্মদ হোছাইন ও বিশ্বজিৎ শর্মা।