আগামী ৩ সেপ্টেম্বর থ্রিজি মোবাইল সার্ভিস
লাইসেন্সের নিলামের সময় নির্ধারণ করে এর খসড়া নীতিমালা মন্ত্রণালয়ে জমা
দিয়েছে বিটিআরসি।
চলতি সপ্তাহে চারটির পরিবর্তে পাঁচটি অপারেটরকে থ্রিজি লাইসেন্স
দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে খসড়া নীতিমালা চূড়ান্ত করে বুধবার বিকালে তা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন-বিটিআরসির চেয়ারম্যান জিয়া আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘সেলুলার মোবাইল ফোন সার্ভিস (থ্রিজি/ফোরজি/এলটিই) রেগুলেটরি লাইসেন্স গাইডলাইন ২০১২’ নামে এ খসড়া নীতিমালা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় নীতিমালা চূড়ান্ত করার পরই লাইসেন্স দেওয়ার ধারাবাহিক কাজ শুরু করবে বিটিআরসি।
একই সঙ্গে তৃতীয় প্রজন্ম (থ্রি-জি), চতুর্থ প্রজন্ম (ফোর-জি) এবং লং টার্ম ইভাল্যুশান(এলটিই) লাইসেন্সের সুযোগ রেখে থ্রিজি মোবাইল সার্ভিস লাইসেন্স খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছে বিটিআরসি।
লাইসেন্স পাচ্ছে ৫ অপারেটর
পাঁচ অপারেটরকে লাইসেন্স দেওয়ার জন্য খসড়া নীতিমালায় প্রস্তাব রাখা হয়েছে জানিয়ে জিয়া আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের বেসরকারি পাঁচ মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে তিনটি এবং নতুন এক অপারেটরকে লাইসেন্স দেওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এছাড়া টেলিটক রাষ্ট্রয়াত্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই লাইসেন্স পাবে।
মোট ১৫ বছরের জন্য অপারেটররা এ লাইসেন্স পাবে।
পাঁচটি মোবাইল অপারেটরকে ১০ মেগাহার্টজ করে মোট ৫০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ নিলামের সিদ্ধান্ত নিয়ে খসড়া নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়।
রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠান টেলিটক ইচ্ছা করলে নিলামে অংশ নিতে পারবে জানিয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, টেলিটক নিলামে অংশ না নিলেও নিলামে যে দর উঠবে, সে পরিমাণ টাকা দিয়েই লাইসেন্স নিতে হবে।
কমপক্ষে দুই অপারেটর লাইসেন্স না নিলে নিলাম বাতিল
থ্রিজি লাইসেন্স নিলামে কমপক্ষে দুটি অপারেটর লাইসেন্স না নিলে নিলাম প্রক্রিয়া বাতিল করে পুনরায় নিলাম ডাকা হবে বলে খসড়া নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
খসড়া নীতিমালায় এ ধরনের সিদ্ধান্ত থাকলেও এ লাইসেন্স নিতে সবাই আগ্রহী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন জিয়া আহমেদ।
নিলাম প্রক্রিয়া শুরু ৭ মে
আগামী ৭ মে থ্রিজি লাইসেন্স নিলামের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে বলে খসড়া নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে। ১২ জুলাই অপারেটরদের আবেদন নেওয়া হবে এবং ১৯ জুলাই যোগ্য অপারেটরদের নাম ঘোষণা করা হবে বলে খসড়া নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
জিয়া আহমেদ জানান, নিলামে প্রতি মেগাহার্টজ তরঙ্গের জন্য ৩০ মিলিয়ন (৩ কোটি) মার্কিন ডলার বিড মানি নির্ধারণ করা হয়েছে।
থ্রিজি লাইসেন্সের জন্য ৫ লাখ টাকা আবেদন ফি, লাইসেন্স ফি ১০ কোটি টাকা এবং প্রতি বছর লাইসেন্স নবায়নের জন্য ৫ কোটি টাকা, রেভিনিউ শেয়ারিং ৫.৫% এবং সোসাল অবলিগেশন ফি ১% দিতে হবে।
নভেম্বরের মধ্যে লাইসেন্স প্রদান
নিলামে যে অপারেটর সর্বোচ্চ দর দেবে সে দর সমমানের দর দিয়ে বাকি অপারেটরদের লাইসেন্স নেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে খসড়া নীতিমালায়।
৩ সেপ্টেম্বর নিলাম হওয়ার পর ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে অপারেটরদের লাইসেন্স নিতে হবে বলে খসড়া নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে। নিলামের পর টাকা জমা দিলেই লাইসেন্স দেওয়া হবে বলে জানান জিয়া আহমেদ।
তিন বছরের মধ্যে সারা দেশে থ্রিজি
লাইসেন্স নেওয়ার তিন বছরের মধ্যে সারা দেশে থ্রিজি সেবার প্রস্তাব রেখে খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। তিনটি ধাপে অপারেটরদের থ্রিজি নেটওয়ার্ক স¤প্রসারণ করতে হবে।
লাইসেন্সপ্রাপ্ত অপারেটরদের ১৫০ কোটি টাকা ব্যাংক গ্যারান্টি দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে খসড়া নীতিমালায়। নেটওয়ার্ক টার্গেট পূরণ করতে না পারলে প্রতিধাপে ব্যাংক গ্যারান্টি থেকে ৫০ কোটি করে টাকা কেটে নেবে আর সফল হলে ৫০ কোটি টাকা ফেরৎ দেবে বিটিআরসি।
প্রথম ধাপে পুরনো অপারেটরদের (যারা বর্তমানে টুজি কার্যক্রম চালাচ্ছে) ৬ মাসের মধ্যে এবং নতুন অপারেটরকে ১ বছরের মধ্যে ৬টি বিভাগে নেটওয়ার্ক স¤প্রসারণ করতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপে পুরনো অপারেটরদের ১৮ মাসের মধ্যে এবং নতুন অপারেটরকে ২৪ মাসের মধ্যে শতকরা ৩০ ভাগ জেলায় নেটওয়ার্ক স¤প্রসারণ করতে হবে।
তৃতীয় ধাপ অর্থাৎ শেষ ধাপে ৩৬ মাসের মধ্যে পুরো দেশে পুরাতন অথবা নতুন অপারেটরকে নেটওয়ার্ক স¤প্রসারণ করতে হবে।
চলতি সপ্তাহে চারটির পরিবর্তে পাঁচটি অপারেটরকে থ্রিজি লাইসেন্স
দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে খসড়া নীতিমালা চূড়ান্ত করে বুধবার বিকালে তা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন-বিটিআরসির চেয়ারম্যান জিয়া আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘সেলুলার মোবাইল ফোন সার্ভিস (থ্রিজি/ফোরজি/এলটিই) রেগুলেটরি লাইসেন্স গাইডলাইন ২০১২’ নামে এ খসড়া নীতিমালা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় নীতিমালা চূড়ান্ত করার পরই লাইসেন্স দেওয়ার ধারাবাহিক কাজ শুরু করবে বিটিআরসি।
একই সঙ্গে তৃতীয় প্রজন্ম (থ্রি-জি), চতুর্থ প্রজন্ম (ফোর-জি) এবং লং টার্ম ইভাল্যুশান(এলটিই) লাইসেন্সের সুযোগ রেখে থ্রিজি মোবাইল সার্ভিস লাইসেন্স খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছে বিটিআরসি।
লাইসেন্স পাচ্ছে ৫ অপারেটর
পাঁচ অপারেটরকে লাইসেন্স দেওয়ার জন্য খসড়া নীতিমালায় প্রস্তাব রাখা হয়েছে জানিয়ে জিয়া আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের বেসরকারি পাঁচ মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে তিনটি এবং নতুন এক অপারেটরকে লাইসেন্স দেওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এছাড়া টেলিটক রাষ্ট্রয়াত্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই লাইসেন্স পাবে।
মোট ১৫ বছরের জন্য অপারেটররা এ লাইসেন্স পাবে।
পাঁচটি মোবাইল অপারেটরকে ১০ মেগাহার্টজ করে মোট ৫০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ নিলামের সিদ্ধান্ত নিয়ে খসড়া নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়।
রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠান টেলিটক ইচ্ছা করলে নিলামে অংশ নিতে পারবে জানিয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, টেলিটক নিলামে অংশ না নিলেও নিলামে যে দর উঠবে, সে পরিমাণ টাকা দিয়েই লাইসেন্স নিতে হবে।
কমপক্ষে দুই অপারেটর লাইসেন্স না নিলে নিলাম বাতিল
থ্রিজি লাইসেন্স নিলামে কমপক্ষে দুটি অপারেটর লাইসেন্স না নিলে নিলাম প্রক্রিয়া বাতিল করে পুনরায় নিলাম ডাকা হবে বলে খসড়া নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
খসড়া নীতিমালায় এ ধরনের সিদ্ধান্ত থাকলেও এ লাইসেন্স নিতে সবাই আগ্রহী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন জিয়া আহমেদ।
নিলাম প্রক্রিয়া শুরু ৭ মে
আগামী ৭ মে থ্রিজি লাইসেন্স নিলামের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে বলে খসড়া নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে। ১২ জুলাই অপারেটরদের আবেদন নেওয়া হবে এবং ১৯ জুলাই যোগ্য অপারেটরদের নাম ঘোষণা করা হবে বলে খসড়া নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
জিয়া আহমেদ জানান, নিলামে প্রতি মেগাহার্টজ তরঙ্গের জন্য ৩০ মিলিয়ন (৩ কোটি) মার্কিন ডলার বিড মানি নির্ধারণ করা হয়েছে।
থ্রিজি লাইসেন্সের জন্য ৫ লাখ টাকা আবেদন ফি, লাইসেন্স ফি ১০ কোটি টাকা এবং প্রতি বছর লাইসেন্স নবায়নের জন্য ৫ কোটি টাকা, রেভিনিউ শেয়ারিং ৫.৫% এবং সোসাল অবলিগেশন ফি ১% দিতে হবে।
নভেম্বরের মধ্যে লাইসেন্স প্রদান
নিলামে যে অপারেটর সর্বোচ্চ দর দেবে সে দর সমমানের দর দিয়ে বাকি অপারেটরদের লাইসেন্স নেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে খসড়া নীতিমালায়।
৩ সেপ্টেম্বর নিলাম হওয়ার পর ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে অপারেটরদের লাইসেন্স নিতে হবে বলে খসড়া নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে। নিলামের পর টাকা জমা দিলেই লাইসেন্স দেওয়া হবে বলে জানান জিয়া আহমেদ।
তিন বছরের মধ্যে সারা দেশে থ্রিজি
লাইসেন্স নেওয়ার তিন বছরের মধ্যে সারা দেশে থ্রিজি সেবার প্রস্তাব রেখে খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। তিনটি ধাপে অপারেটরদের থ্রিজি নেটওয়ার্ক স¤প্রসারণ করতে হবে।
লাইসেন্সপ্রাপ্ত অপারেটরদের ১৫০ কোটি টাকা ব্যাংক গ্যারান্টি দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে খসড়া নীতিমালায়। নেটওয়ার্ক টার্গেট পূরণ করতে না পারলে প্রতিধাপে ব্যাংক গ্যারান্টি থেকে ৫০ কোটি করে টাকা কেটে নেবে আর সফল হলে ৫০ কোটি টাকা ফেরৎ দেবে বিটিআরসি।
প্রথম ধাপে পুরনো অপারেটরদের (যারা বর্তমানে টুজি কার্যক্রম চালাচ্ছে) ৬ মাসের মধ্যে এবং নতুন অপারেটরকে ১ বছরের মধ্যে ৬টি বিভাগে নেটওয়ার্ক স¤প্রসারণ করতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপে পুরনো অপারেটরদের ১৮ মাসের মধ্যে এবং নতুন অপারেটরকে ২৪ মাসের মধ্যে শতকরা ৩০ ভাগ জেলায় নেটওয়ার্ক স¤প্রসারণ করতে হবে।
তৃতীয় ধাপ অর্থাৎ শেষ ধাপে ৩৬ মাসের মধ্যে পুরো দেশে পুরাতন অথবা নতুন অপারেটরকে নেটওয়ার্ক স¤প্রসারণ করতে হবে।