বুধবার, ২৮ মার্চ, ২০১২

ঈদগড় বানাঞ্চল উজাড় হওয়ার উপক্রম

॥ জহির উদ্দিন খন্দকার ॥
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ঈদগড় রেঞ্জধীন সদর বিটের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে চিহ্নিত বার্মাইয়া জামাল বাহিনীর লোকজন বনকর্ম কর্তাদের প্রত্যক্ষ যোগসাজসে গাছ কাটা ও নির্বিগ্নে পাচার অব্যাহত ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। এক দিনেই কেটে নিয়ে গেছে ১২টি মাদার থ্রী সাইজের গর্জন ও জাম গাছ।
জানা যায়, ঈদগড় এলাকার চিহ্নিত বার্মাইয়া জামাল বাহিনীর লোকজন ঈদগড় সদর বিটের ঠান্ডা ঝিরি বইজ্জাকাটা ও ছেংছড়ি বনাঞ্চলে কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ যোগসাজসে গাছ কেটে ঈদগড় রেঞ্জ অফিসের সামনে দিয়ে চেকগেইট পার করে জীপ যোগে ঈদগাঁও “স” মিলে নিয়ে যায়। গত ২১ মার্চ সকাল ১০ ঘাটকায় উক্ত জামাল বাহিনীর বড় বিল নতুন পাড়া বনাঞ্চলে নুরুল ইসলামের ঘোনার আগার গর্জন ও জাম বাগান হইতে ১২ টি মাদার থ্রী সাইজের গর্জন ও জাম গাছ কেটে রদ্দা তৈরীর কাজ করছিল। এলাকাবাসী বিষয়টি মোবাইল ফোনে রেঞ্জ কর্মকর্তাকে জানালে তিনি হেডম্যান মোঃ হোসন ভিলেজার আবদু জলিল ও ভিলেজার মোহাম্মদকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখার নির্দেশ দেন। তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ কাটার ভয়াল দৃশ্য দেখে তৎক্ষনাত রেঞ্জ কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। এক পর্যায়ে বার্মাইয়া জামাল হেডম্যান মোঃ হোসনের হাত থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে কেন লোক পাটিয়েছে প্রশ্ন করেন রেঞ্জ কর্মকর্তাকে। রেঞ্জ কর্মকর্তা রহস্যজনক কারণে হেডম্যান মোঃ হোসনকে অফিসে ফিরে আসার নির্দেশ দেন। পরে জামাল বাহিনীর লোকজন ঐ রাতে বিপুল পরিমান গাছ জীপ যোগে ঈদগড় চেক গেইট দিয়ে ঈদগাঁও “স” মিলে নির্বিঘেœ নিয়ে যায়। সরেজমিনে গেলে গাছকাটার ভয়াল দৃশ্যের নিরব স্বাক্ষী হিসাবে এখনো ১২টি গাছের মুথা দেখতে পাওয়া যায়। হেডম্যান মোঃ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি পুরো ঘাটনা দিবালোকের মত সত্য বলে দাবী করেন। বার্মাইয়া জামালের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি রেঞ্জ কর্মকর্তা নুরুজ্জামানকে জানিয়ে গাছগুলি কেটেছি। যদি গোপনে কাটতাম তাহলে পাচারের সময় চেক গেইটে কেন আটক করা হল না বলে তিনি উল্টো প্রশ্ন করেন। রেঞ্জ কর্মকর্তা নুরুজ্জামানের সাথে তিনি পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ঈদগড় সদর বিটের জনবল কম। একজন বিট অফিসার ও দুইজন ফরেষ্ট গার্ড আছে মাত্র। বিট কর্মকর্তা গত ২০ মার্চ হইতে ছুটিতে আছেন। ফরেষ্ট গার্ডের মধ্যে একজনকে নার্সারীতে পাঠালে আর একজনকে পাঠাতে হয় চেক গেইটে এই সুযোগে গাছ চোরেরা বনাঞ্চলে ঢুকে গাছ কাটলে করার কিছু থাকে না বলে মন্তব্য করেন। এলাকাবাসী বার্মাইয়া জামাল বাহিনী অপ্রতিরোধ্য দাবী করে গত ২১ মার্চের ঘাটনার তদন্ত ও অব্যাহত গাছ কাটা, পাচার বন্দের জোর দাবী জানান।

এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...