॥ রামু নিউজ রিপোর্ট ॥
রামু উপজেলার ফতেখারকুল ইউনিয়নের হাইটুপি গ্রামে পুলিশ কর্তৃক গৃহবধূ পেটানোর ঘটনার অনুসন্ধানে কিছু নতুন তথ্য বেরিয়ে আসছে। এলাকাবাসী জানায়,পুলিশ চলে যাওয়ার পরে তাঁর স্বামীও ঐ গৃহবধুকে পিটিয়েছে।
তবে ভুক্তভোগী পরিবারটি এখনো দাবি করছে পুলিশের মারধরের কারণেই
গৃহবধূ বিপু বড়ুয়া আহত হয়েছে। কিন্তু তাদের এ দাবির সাথে এলাকাবাসীর অনেকেই ভিন্নমত পোষন করছেন। তবে ভুক্তভোগী পরিবারটি এখনো দাবি করছে পুলিশের মারধরের কারণেই
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, গত ১১ মার্চ দুপুরে ঐ বাড়িতে পুলিশ ঢুকলে পুলিশ কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি না দেওয়ায় গৃহবধূ বিপু বড়ুয়াকে ধাক্কাধাক্কি করে। তখন স্থানীয় অনেকেই বাড়ির ভেতরের চিৎকার চেঁচামেচির শব্দ শুনতে পান। এ সময় পুলিশের ধাক্কায় বিপু বড়ুয়া পিঠে আঘাত পান।
তারা আরো জানান, পুলিশ চলে যাওয়ার পর পর রোজেন বড়ুয়া বাড়ি আসেন এবং পুলিশকে জাতীয় পরিচয় পত্র দেওয়ার অজুহাতে স্ত্রীকে বেদম মারধর করে। এতে বিপু বড়ুয়া গুরুতর আহত হলে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তবে অভিযুক্ত এসআই রুহুল আমিন মারধর এবং ধাক্কাধাক্কির বিষয়টি সম্পুর্ণ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, এটি একটি সাজানো ঘটনা। চুরির মামলায় অভিযুক্ত স্বামীকে বাঁচাতে এ ঘটনা সাজিয়েছে।
রামু থানার অফিসার ইনচার্জ একে নজিবুল ইসলাম জানান, তদন্তে এ অভিযোগের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য গত ১১ র্মাচ দুপুরে চুরির মামলায় অভিযুক্ত রোজেন বড়ুয়াকে ধরতে হাইটুপি গ্রামে তাঁর বাড়িতে গেলে অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় রোজেন বড়ুয়ার পরিবারের অভিযোগ ছিল, রামু থানার এসআই রুহুল আমিন আসামীকে বাড়িতে না পেয়ে শয়ন কক্ষে ঢুকে তাঁর স্ত্রী বিপু বড়ুয়ার (২৪) কাছে রোজেন বড়ুয়ার জাতীয় পরিচয় পত্র চান। না দেওয়ায় তাকে নির্মমভাবে পেটান এবং গলা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। এতে ওই গৃহবধুর হাত ও পিঠে আঘাত পান।