বুধবার, ২৮ মার্চ, ২০১২

দীর্ঘ ৩ মাস পর অক্ষত অবস্থায় স্বজনদের কাছে ফিরে এলো মহেশখালীর নিখোঁজ ১৫ মাঝিমাল্লা

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ 
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি ! গত ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ইং  শুক্রবার সন্ধ্যায় মাছ ধরার উদ্যেশে মহেশখালী উপজেলার কুতুবজুম ইউনিয়নের তাজিয়াকাটা এলাকার মৃত সিকদার আলীর পুত্র নুরুল হক মাঝির নেতৃত্বে  কক্সবাজার নুনিয়ার ছড়া এলাকার বাবুল কোম্পানীর মালিকানাধীন এফ.বি মায়ের দোয়া নামক একটি ফিশিং ট্রলার ১৫ জন মাঝিমাল্লা
নিয়ে মাছ ধরার উদ্যেশে সাগরে যায়। গভীর সাগরে মাছ ধরা অবস্থায় প্রচন্ড ঝড়ের কবলে পড়ে নিখোজঁ হওয়া মাঝিমাল্লারা গত ২৫ মার্চ অক্ষত অবস্থায় মহেশখালীতে ফিরে আসে।


ফিরে আসা ফিশিং ট্রলারের মাঝি মাল্লা সুত্রে জানা যায়, গত ১৬ ডিসেম্বর কক্সবাজার নুনিয়া ছড়া এলাকার বাবুল কোং মালিকানাধীন এফ বি মায়েরদোয়া নামক ফিশিং ট্রলার নিয়ে আমার সাগরে মাছ ধরার উদ্দ্যেশে সাগরে যায়। গভীর বঙ্গোপসাগরে ৩ দিন মাছ ধরা অবস্থায় প্রচন্ড ঝড়ের কবলে পড়ে হঠাৎ করে  ফিশিং ট্রলারের ইঞ্জিন নষ্ঠ হয়ে গেলে  বঙ্গোপসাগরের অথৈয় পানিতে ভাসতে ভাসতে অজনার উদ্যেশে হারিয়ে যায় ট্রলার সহ মাঝিমাল্লারা। ট্রলারে থাকা খাবার শেষ হয়ে গেলে কোন উপায় না দেখে মাঝিমাল্লারা প্রায় একমাস যাবৎ অনাহারে থেকে শুধু মাত্র বরফের পানি খেয়ে ভাসতে ভাসতে দেড়মাস পর মিয়ানমার রাজ্যের একটি অঙ্গ রাজ্য কাপুর রাজ্যে গিয়ে ট্রলারটি পাথরের সাথে ধাক্কা খেয়ে আটকে গেলে । তখন ঔই রাজ্যের একদল  পুলিশ নৌযান নিয়ে সীমান্তে টহল দিচ্ছিল মাঝিমাল্লাদের  আত্মচিৎকারে পুলিশ দল ট্রলারের কাছে এসে তাদেরকে  বিভিন্ন ধরনের খাদ্য দ্রব্য সহায়তা করে। পরে ওই রাজ্যে  প্রভাবশালী ব্যক্তি হামিদ ও নুর মোহাম্মদ সহ বেশ কয়েকজন মাঝিমাল্লাদেরকে কেপ্রুর  জালিয়া পাড়ার একটি মসজিদে থাকা খাওয়ার  ব্যবস্থা  করেন । ও খানে ২০ দিন থাকার পর তারা ও রাজ্যে জনগণের সহায়তা ১৫ জন মাঝিমাল্লাদেরকে মিং থানায় হস্তান্তর করেন। মিং রাজ্যে সরকার মাঝিমাল্লাদেরকে জলদস্যু হিসাবে আখ্যয়িত করে তাদেরকে ১৫ দিনের সাজা দেন। এদিকে ১৫ জন মাঝি মাল্লাদের  খবর ঔ রাজ্যে বিভিন্ন গণ মাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর মিয়ানমার সরকারের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয়ে খবর আসে বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার নিখোঁজ  ১৫ জন মাঝিমাল্লা মিয়ানমার জেল হাজতে আটক আছে । তখন থেকে বোট মালিক বাবুলের তৎপর শুরু হয় তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে খবর নিয়ে জানতে পারে ট্রলার ও মাঝিমাল্লরা জীবিত অবস্থায় আছেন। দু:খের বিষয় হচ্ছে ট্রলার মালিক উক্ত ১৫ জন মাঝিমাল্লাদের পরিবারের কাছ থেকে তাদের উদ্ধার করার কথা বলে  টাকা নিলে ও তিনি মুলত  ট্রলার পাওয়ার জন্য আই্যকাব থানার উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ২০ লাখ টাকার চুক্তি করলে তারা মূলত ১৫ জন মাঝিমাল্লাদের ফেরত দিয়ে ট্রলার টি এখনও পর্যন্ত রেখে দিয়েছে মিং সরকার। অবশেষে ৩ মাস অতিবাহিত  হওয়ার পর  নারী ছেড়া দেশে ফিরে আসতে পেরে অনেক জেলের চোখের কান্না চল ধরে রাখতে পারেনি। স্থানীয় অনেক জেলেরা বলতে থাকে রাখে আল্লাহ মারে কে ।

এদিকে ফিরে আসা এক জেলে জানান,  আমরা মিয়ানমার জেলখানায়  ১৫ দিন ছিলাম এটা আমাদের মনে হয় ১৫ বছর তাও আবার অতিব কষ্ঠের । একটি পলিথিনে করে দিনে ২ বেলা খাবার দিলে রাত্রে ১০ টার সময় ওই পলিথিনে করে পায়খানা প্রসাব করতে হয় । আর কোন দেশের বন্ধি কয়েদিদের মনে হয় না এমন মানবেতর জীবন যাপন  করছে। তার মত আরো অনেক জেলে কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, তারা নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে।  ফিরে আসা মাঝিমাল্লারা হলেন , মহেশখালীর তাজিয়াকাটা এলাকার মৃত সিকদার আলীর  পুত্র নুরুল হক মাঝি,রফিক, টিটু, কাউয়াখালী একালাকার আলী আহমদ,উখিয়া এলাকার  সেলিম, চট্টগ্রামের চন্দনাইশ এলাকার কাসেম,রেজাউল করিম,নুনিয়া ছড়া এলাকার সোলতান আহমদ ও তার শিশু  পুত্র  ফিরোজ ,হোছন, হাসেম,জহির  আহমদ,ইয়াছিন,নুরুল ইসলাম প্রমুখ।




এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...