॥রামু নিউজ ডেস্ক॥
শুনানি ছাড়াই আবারো বিদ্যুতের দাম গ্রাহক পর্যায়ে ৪ থেকে ৬ ও পাইকারি দর
বাড়ছে ৮ শতাংশ। এ বিষয়ে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি)
সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কিছু কাজ এখনো বাকি
রয়েছে। এ সংক্রান্ত ঘোষণা আজ অথবা কাল আসতে পারে।
কমিশনের অন্য সদস্য
প্রকৌশলী ইমদাদুল হক বলেন, খুচরা পর্যায়ে অন্তর্বর্তীকালীন দাম না বাড়ালে
পল্লী বিদ্যুতের মতো রুগ্ন প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই
অন্তর্বর্তীকালীন হিসেবে এ দাম বাড়ানো হচ্ছে। এর আগে ১৯ মার্চ বিইআরসির
চেয়ারম্যান সৈয়দ ইউসুফ হোসেন বলেন, বিতরণ সংস্থাগুলোর জন্য বিদ্যুতের
পাইকারি দাম বাড়ানোর ঘোষণা আগামী সপ্তাহে আসতে পারে। এমনকি গ্রাহক পর্যায়ে
অন্তর্বর্তীকালীন ৫ শতাংশ ও পাইকারি বিদ্যুতের প্রতি ইউনিটে সর্বোচ্চ ৩১
পয়সা করে বাড়তে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। ১৯ মার্চ বাংলাদেশ
এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) হলকক্ষে এ সংক্রান্ত গণশুনানি শেষে
সৈয়দ ইউসুফ হোসেন এসব কথা জানান। শুনানিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)
পাইকারি (বাল্ক) বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি ৪১ পয়সা বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়।
এরপর বিইআরসির মূল্যায়ন কমিটি ২২ পয়সা দাম বাড়ানোর সুপারিশ করে। বর্তমানে
বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য ইউনিট প্রতি ৩ টাকা ৭৪ পয়সা। পিডিবির প্রস্তাবে
বলা হয়েছে, ২০১১-১২ অর্থবছরে কম দামে বিদ্যুৎ বিক্রি করায় ৩ হাজার ৯৮৬ কোটি
টাকা ঘাটতি হয়েছে। এছাড়া ২০১১ সালের ২৯ ডিসেম্বর জ্বালানি তেলের দাম লিটার
প্রতি ৫ টাকা বাড়ানো হয়। গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে ১৩৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা
ঘাটতি হয়েছে। এর আগে ২৪ নভেম্বর এক ঘোষণায় দাম বাড়িয়ে ডিসেম্বর থেকে গড়ে ৩
দশমিক ২৭ টাকা ও ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ দশমিক ৭৪ টাকা করা হয়।