॥ বিশেষ প্রতিবেদক ॥
ক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ওসমান গণী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। ২৯ মার্চ রাত সাড়ে ১১
টায় কালারমারছড়া বাজারে তার ব্যবসায়িক কার্যালয়ে মুখোশধারী ২০/২২ জন সন্ত্রাসি হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করে। তিনি জেলার প্রথম শহীদ মোহাম্মদ শরীফ চেয়ারম্যানের পুত্র।সাবেক ইউপি মেম্বার হাজি রশিদ আহমদ জানান, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচিত চেয়ারম্যান মীর কাসেম চৌধুরী ও পরাজিত প্রার্থী সেলিম চৌধুরীর সাথে নিহত ওসমানের বিরোধ চলে আসছিল। এবং আগামী চিংড়ি মৌসুমে আটজইন্যা ঘোনা, শুদ্ধখালী ঘোনা ও আজগরের বাপের ঘোনা জবর দখল করতে তাকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ ফাঁিড়র ৫০ গজ দুরে এ হত্যা কান্ড সংগঠিত হওয়ায় উত্তেজিত জনতা পুলিশ ফাঁিড়র উপর হামলা চালায়।
অভিযোগ রয়েছে এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসি খলিল, হান্নান ও সেলিম চৌধুরীর সাথে ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই এরশাদ নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিল। যার ফলে সন্ত্রাসিরা এক ঘন্টা ধরে এ তান্ডব লীলা চালালেও ফাঁড়ির পুলিশ ছিল নিরব দর্শকের ভুমিকায়
মহেশখালী থানার অফিসার্স ইনচার্জ রণজিত কুমার জানান, তিনি ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হযেছে।
খুনের নেপত্য গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ওসমান গণী বিজয় ঠেকাতে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছিলেন পার্শ্ববর্তি এলাকার সেলিম চৌধুরী। যার ফলে দুই জনই পরাজিত হয়। নির্বাচনের পর থেকে সেলিম চৌধুরী ওসমান গণীকে ঠেকাতে মরিয়া হয়ে উঠে। এতে সেলিম চৌধুরীর সাথে যোগ দেয় নির্বাচিত চেয়ারম্যান মীর কাসিম চৌধুরী। চেয়ারম্যান ওসমানকে শায়েস্তা করতে নোনাছড়ি এলাকায় খলিল বাহিনী ,আধাঁর ঘোনার মতি বাহিনী ও ঝাপুয়ার চেয়ারম্যান বাহিনীকে ব্যাপক ভাবে সক্রিয় করে সেলিম চৌধুরী ও মীর কাসেম চৌধুরী। শিবির ক্যাডার আবদুল হান্নান আজাদকে কালারমারছড়া পুলিশ ফাঁড়ি পরিচালনার দায়িত্ব প্রদান করে। এর পর থেকে এই তিন বাহিনী সাগরে দস্যুতা, কোহেলিয়া নদীতে চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে আসছিল। আগামি চিংিড় মৌসুমে এলাকার কয়েকটি চিংড়ি প্রজেক্ট জবর দখল করার জন্য সেলিম চৌধুরী মরিয়া হয়ে উঠে। এতে প্রধান বাধা হয়ে দাড়ায় ওসমান গণী। তাই এলাকায় চাদাঁবাজি, ডাকাতি, জবর দখল সহ নানা অপকর্ম চালাতে ওসমান গণীকে হত্যা করা হয়।