শুক্রবার, ৩০ মার্চ, ২০১২

পানির বিষাদে বোরো জমি শুকিয়ে চৌচির

॥ জাবেদ আবেদীন শাহীন ॥
চলছে বোরো আবাদের মৌসুম। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধান খাদ্য শষ্য সেচ নির্ভরশীল কৃষকরা। তারা বোরো চাষের বাম্পার ফলনে আশায় কিছু সময়ের জন্য অন্তত ক্লান্তহীন ঘাম জরানো কৃষির স্বার্থে জেলায় পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি ভ্ক্তোভোগি কৃষকদের। মাত্রাহীন বিদ্যুৎ বিভ্রাট সেইসাথে পানির অভাবে বোরো
ক্ষেত ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে বেশ কিছু গ্রামে। কক্সবাজারে চাহিদার তুলনায় বর্তমান সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় তার উ্পর লোডশেড়িং, বিশেষ করে বিদ্যুত চালিত সেচ পাম্পের উপর নির্ভরশীল হাজার হাজার কৃষক ও বোরো চাষিরা চরম বিপাকে রয়েছে। বিভিন্ন গ্রামে বিদ্যুৎ ঠিকমত না থাকার কারণে কৃষির সেচ ব্যবস্থা প্রায় অচল হয়ে গেছে। কৃষকদের রোপন করা বোরো চাষও প্রছন্ড গরমের কারণে কয়েকটি গ্রামের মাটি ফেটে গেছে। সবুজ ধানের গোছাও বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে বোরো চাষ। কৃষকদের অভিযোগে জানা যায়, জেলার গ্রামগুলোতে নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে ২৪ঘন্টার মধ্যে বিদ্যুত থাকে মাত্র ৫ থেকে ৬ ঘন্টা। তাও আবার এই আসে এই যায় অবস্থা। এদিকে বর্ষা শুরুর পূর্বে কৃষকরা তাদের বোরো আবাদ নিয়ে পড়েছে শঙ্খিতযাত্রায়। বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ বলেছে জেলায় পিক আওয়ারে চাহিদা রয়েছে ৪৮ মেগাওয়াট, পক্ষান্তরে সরবরাহ পাওয়া যাচেছ মাত্র ১৭/১৮ মেগাওয়াট।
সরজমিনে জানা যায়, মৌসুমের বোরো ধানের বাম্পার ফলন পাওয়ার আশায় এবারে চলতি সময়ে কক্সবাজার জেলার প্রান্তিক কৃষকরা বোরো চাষ করে। প্রায় দুমাসের মাথায় এর মধ্যে ক্ষেতে পানি সমস্যা বড় হয়ে উঠে। গরমের মাত্রা বাড়ার কারনে বোরো ধানের ক্ষেত পানির জন্য হাহাকার হয়ে উঠে। বিদ্যুৎ নির্ভরশীল সেচ ব্যবস্থাদের মাথায় বাজ পড়ার মত অবস্থা। জেলার বিভিন্ন গ্রামে রোপনকৃত বোরো ধানের চারা মরে যাচ্ছে বলে কৃষকরা জানান। এবার প্রায় ১ লাখ ৮২ হাজার ৫’শ ৪৯ হেক্টর কৃষি জমিতে বোরো চাষ করা হয়েছে। তবে একের পর কোন কারণ ছাড়া ডিজেলের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় প্রান্তিক কৃষকরা গভীর উৎকণ্ঠা রয়েছে। কৃষকরা নিজেদের জন্য এবারে বোরো চাষ করতে গিয়ে বিদ্যুৎ যন্ত্রনায় শঙ্খার মধ্যে রয়েছে।  ঘন ঘন লোডশেড়িংয়ের কারণে চরম আর্থিক সংকটে পড়েছে ভুক্তভোগীরা। জেলার বেশ কিছু গ্রামে জমিতে পানির অভাবে তিক্ষè গরমের কারণে বোরোর আবাদ ক্ষেত ফেটে চৌচির। পল্লী বিদ্যুতের ভয়াবহ যন্ত্রনায় অস্থির কৃষকরা। বোরো আবাদের জন্য জেলায় সেচ যন্ত্রের গুলোর অধিকাংশ বিদ্যুৎ নির্ভরশীল। প্রয়োজন মাফিক বিদ্যুতের অভাবে কৃষকরা তাদের ফলিত বোরো চাষে সেচ দিতে পারছে না। তীব্র গরমে বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে বোরো চাষ। এখনো কিছু কিছু গ্রামে পানির কারনে কৃষকেরা তাদের সাহস করতে পারছে না।
ভারুয়াখালীর কৃষক আবদুর সবুর  জানান, পল্লীবিদ্যুতের অনিয়ন্ত্রিত লোডশেড়িংয় এখন বড় সমস্যা।কৃষকের কথা কেউ ভাপতে চায় না। শহরের অবৈধ বিদ্যুৎ লাইনগুলো কেটে দিয়ে এই চুরির বিদ্যুৎ দিয়ে ভালো মত চাষ করতে পারবো।
পেকুয়ার কৃষক মোতালেব মিয়া জানান, অন্যাণ্য বারের চেয়ে এবারে বেশী ফলনের আশায় বোরো চাষ করতে গিয়ে বিপদে পড়তে হয়েছে। পল্লীবিদ্যুতের ভেলকিভাজির কারণে এবারে বোরো চাষর বারোটা বাজছে। ধানের গোছা আসার আগে বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। বিদ্যুতের জন্য ঠিকমত পানি দিতে পারি না। মাসের শেষে ঠিক সময়ে কতৃপক্ষ বিল পৌয়ে দিতে একদম কারপন্য করে না। কৃষির সাথে নির্ভরশীল সব কিছু জিনিসের মূল্য বেড়ে গিয়েছে। নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুত ছাড়া বোরো সেচ ব্যবস্থা হুুমকির মুখে।
 রামু উপজেলার কৃষি অফিসার বলেন,মূলত পানি সংকটের কারণে বেশীর ভাগ বোরো চাষ ল্লাচে হয়ে যাচ্ছে।যারা বিদ্যুৎ সেচ ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল তারাই পড়েছে বিপদে।তবে বৃষ্টি হলে সব ঠিক হয়ে যাবে।

এক সপ্তাহে ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দীর্ঘ ১১ মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু

মহসীন শেখ॥   দীর্ঘ এগার মাস পর কক্সবাজারে নকশা অনুমোদন দেয়া শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ...